বাগাতিপাড়ায় যাত্রার নামে চলছে নগ্নতা ও জুয়ার আসর


নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুরে মিশ্রী পাড়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যাত্রার নামে চালান হচ্ছে বেপরোয়া নগ্নতা। কিছু সুন্দরীদের দিয়ে রাতভর চলছে নগ্ন নাছ-গান আর অশ্লীলতা। প্রকাশ্যে বসেছে জমজমাট জুয়ার আসর। এ জুয়ায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লেন দেন হচ্ছে। এতে অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ী ফিরছেন। স্থানীয়রা জানান, বাগাতিপাড়া উপজেলায় প্রায় সারা বছরই চলে এ অশ্লিল যাত্রা ও জুয়া। এক জায়গাতে শেষ না, হতেই আরো দুই যায়গায় চলে নতুন মাঠের প্রস্তুতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়োজক কমিটির একজন সদস্য বলেন প্রতি নাইটে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রশাসনকে দিয়ে আমরা মাঠ চালাই। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই জমে উঠে এইসব জুয়ার আসর। একটানা রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে। রাত ৯ টার শো শুরু হলেও যুব সমাজ ধ্বংসের মহা-আয়োজন শুরু হয় রাত ১২ টায়। সেখানে একটানা ভোররাত ৪ টা পর্যন্ত চলে সুন্দরীদের নগ্ন দেহ প্রদর্শন ও অশ্লীল নাচ-গান। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আয়োজনটিই থাকে নগ্নতায় ভরপুর। দর্শকের গ্যলারীতে যারা থাকে তার মধ্যে ১৪ থেকে ১৮ বছরের উঠতি বয়সের মাধ্যমিক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের উপস্থিতি ৬০ ভাগ। আর এই সমস্ত নগ্ন চিত্র দেখেই ধর্ষণ ও ইভটিজিং এর মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে। আয়োজক কমিটির কঠোর নির্দেশের কারণে রাতভর চলা এ সব নগ্নতার ভিডিও চিত্র ধারণ বা ক্যমেরাবন্দী করতে দেয়া হয় না, আর তা এতটায় নগ্নতায় ভরপুর যে, ক্যমেরাবন্দি থাকলেও পত্রিকার পাতায় ছাপা সম্ভব নয়। লাঠিসোঠা হাতে কমিটির সদস্যরা এর প্রতি সর্বদা কড়া নজর রাখছে। কিছুতেই এদের নজর এড়ানো যায় না। কেও মোবাইল বের করে ভিডিও বা ছবি তুলতে গেলেই লাঠি বাহিনীর সদস্যরা তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছে। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলছে। এ রকম গোপনে ভিডিও করতে গিয়ে মোবাইল খুইয়েছেন অনেকেই। ইতি পূর্বে ঐ এলাকার পাশে বজরাপুর এলাকায় ২০১২ সালে যাত্রা দেখে ফেরার পথে রহিমানপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আবুল কালাম দুর্বিত্তের হাতে নিহত হয়। যারা এ সমস্ত আয়োজন করে তারা এলাকার দাপটশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। প্রশাসনকে বলেও এর কোন প্রতিকার হয়নি। এব্ যপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ওপর থেকে পারমিশন নিয়ে এ আয়োজন করে তারা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন